বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০৭] :: গ্রাফটিং এর মাধ্যমে বনসাই চারা উৎপাদন।

গ্রাফটিং বীজ অথবা কাটিং হতে বনসাই তৈরি শুরু করা এবং পূর্বে থেকে জন্মানো উদ্ভিদ থেকে বনসাই তৈরি করা এ দুইয়ের মাঝে সংযোহ স্হাপন করে। গ্রাফটিং করা খুব কঠিন কাজ নয় তবে এতে দক্ষতার প্রয়োজন। আর এ দক্ষতা পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে সহযেই অর্জন করা সম্ভব।
গ্রাফটিং এর জন্য উদ্ভিদকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১) স্টক উদ্ভিদঃ যে উদ্ভিদের মূলতন্ত্র বা কান্ডের সাথে অন্য উদ্ভিদের জোড়া লাগানো হবে তাকে স্টক উদ্ভিদ বলে।
২) সায়নঃ যে কাটিংটিকে স্টক উদ্ভিদের সাথে জেড়া লাগানো হবে তাকে বলে সায়ন।
যখন একটি গ্রাফটিং সম্পুর্ণ ভাবে সফল হয় তখন সায়টি স্টকের মূলতন্ত্রকে ভিত্তি করে নতুন উদ্ভিদে পরিনত হয়।
গ্রাফটিং এর মূলমন্ত্রঃ একটি সফল গ্রাফটিং এর জন্য স্টক ও সায়ন উভয়ের ক্যা্িবয়াম বলয়ের একত্রিকরন প্রয়োজন যা ছাড়া গ্রাফটিং সম্ভব না। এটিই হল গ্রাফটিং এর মূলমন্ত্র।
স্টক ও সায়ন এর ক্যাম্বিয়াম বলয় একত্রে
গ্রাফটিং এর জন্য দরকার একাগ্রতা চটপটে ও দ্রত হাত চালানোর অভ্যাস। আর নিয়মিত অধ্যায়নের মাধ্যমে তা সহযেই অর্জন করা যায়।
আমি এখানে আপনাদের সাথে “ভিনিয়ার এর গ্রাফটিং” পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। কারন এটি সব থেকে সহজ তম গ্রাফটিং পদ্ধতি গুলোর একটি। সেইসাথে যারা প্রথম বারের মত গ্রাফটিং করতে চান তাদের জন্য এ পদ্ধতি খুবই সহয ও বোধগম্য হবে বলে আসাকরি। 
কাজের ধারাঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
১) আপনার নির্ধারিত সায়ান উদ্ভিদ
২) আপনার নির্ধারিত স্টক উদ্ভিদ (একই গোত্রের হলে ভালো হবে)
৩) প্রুনিং কাচি
৪) গ্রাফ্ট টেপ বা পলিথিন হলেও হবে ( তবে পলিথিন নিলে সুতা ও নিতে হবে)
৫) মোটা কাগজের তৈরি সাপোর্ট
গ্রাফটিং এ প্রয়োজনীয় উপকরন
কর্মপদ্ধতিঃ
  • প্রথমেই সায়ান উদ্ভিদ হতে পেনসিলের সমান পুরু সায়ান কেটে নিন ও সায়নের কাটা মাথাটি চেছেঁ মসৃন ও তির্যক করুন। নিচের চিত্রে A
  • এরপর আপনার স্টক উদ্ভিদের মাটি হতে সামান্য উপরে তির্যক ভাবে কেটে নিন।  নিচের চিত্রে B
  • এবার সায়নের কাটা মাথা ম্টকের তির্যক ভাবে কাটা মাথাতে এমন ভাবে স্থাপন করেন যাতে উভয়ের ক্যাম্বিয়াম বলয় পরস্পরের সংপর্ষে আশে। নিচের চিত্রে C
গ্রাফটিং এর ধাপ

  • এবার স্টকের সাথে সায়নকে প্রথমে কাগজের সাপোর্ট দিয়ে তারপর গ্রাফ্ট টেপের সাহায্যে বা পলিথিন ও সুতার সাহায্যে পেচিয়ে দিন।

কিছুদিনের মাঝেই সায়নের উপরীভাগ হতে নতুন কুরি গজাতে শুরু করবে।
গ্রাফটিং নিয়ে কিছু কথাঃ 
অন্যান্ন পদ্ধতির তুলনায় গ্রাফটিং যদিও কিছুটা ঝামেলার তবে এর কিছু বিশেষত্ব আছে।
যেসব উদ্ভিদে কাটিং হতে মূল গজায় না ও যাদের বীজ হতে সহযে চারা গজায় না বা গজাতে অনেক সময় লাগে তাদের গ্রাফংি করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ও সময় সাস্রয় হয়।
অথবা আপনার কাছে যদি কোন দূর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদ থাকে তবে আপনি গ্রফটিং এর মাধ্যমে খুব সহয়ের তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন।
সাধারনত একই ধরনের দুটি উদ্ভিদের মধ্যে গ্রাফটিং করা হয় যেমন পাইনের সাথে পাইনের। তবে আপনি চাইলে এক গাছের সাথে আরেক গাছেরও গ্রাফ্ট করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন